শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪২ পূর্বাহ্ন

ভৈরবে বিষধর সাপসহ পাচারকারি গ্রেফতার ॥ ৭টি সাপ জব্দ

ভৈরবে বিষধর সাপসহ পাচারকারি গ্রেফতার ॥ ৭টি সাপ জব্দ

এম.এ হালিম, বার্তাসম্পাদক:

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হাইওয়ে পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান চলাকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরবের জগন্নাথপুর সড়ক সেতুর কাছ থেকে সোমবার সকালে একটি প্রাইভেটকারে মাদক পাচার হচ্ছে সন্দেহে প্রাইভেটকারটি আটক করা হয়।

আটককৃত প্রাইভেটকার তল্লাশী করে ব্যাক ঢালা থেকে ৯টি বাক্স মিলে। বাক্সে মাদক রক্ষিত সন্দেহে বাক্স খুললে ফুস করে ফণা ধরে উঠে বিষধর সাপ। পরে বিষধর সাপসহ পাচারকারি মাসুদ রানা (৩২) কে গ্রেফতার করে হাইওয়ে পুলিশ। সে আশুলিয়ার খেজুরটুক গ্রামের মোঃ খোরশেদ মিয়ার পুত্র। পাচারকারী মাসুদ রানার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া জব্দকৃত সাপগুলো বন অধিদপ্তরের তত্বাবধানে বনবিভাগের অধীনে বরেণ্য অঞ্চলে অবমুক্ত করা হবে বলে জানা যায়।

পরে বন অধিদপ্তরে খবর দেয়া হলে। বন অধিদপ্তরের একটি টিম এসে সন্ধ্যায় বাক্স থেকে বিষধর ৭ টি সাপ উদ্ধার করে। ৭টির মধ্যে রয়েছে পদ্ম গোখরা, ২টি দাড়াঁশ, ৪টি খৈয়া গোখরা। এদের মধ্যে ৪টি বিষধর সাপ রয়েছে। এদের কামড়ে মানুষের মৃত্যু ঘটে। সাপগুলো পরে তাদের তত্বাবধানে নিয়ে যায় । সাপগুলো বন অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণে বরেণ্য অঞ্চলে অবমুক্ত করা হবে বলে জানান বন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি দল। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বন্যপ্রাণী হত্যা, পাচার, খেলা দেখানো আইনত দন্ডনীয় অপরাধ হলে ও এক শ্রেণীর লোক বন্যপ্রাণী হত্যা বা তাদের দিয়ে খেলা দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করে থাকে। যা বে-আইনী । তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করতে হবে এবং সবাইকে সচেতন হতে হবে।

এ বিষয়ে বন্য অধিদপ্তরের সরীসৃপ বিদ মোঃ সোহেল রানা জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী কেউ বন্যপ্রাণী হত্যা ,নিজ হেফাজতে রাখা বা এঁটা দিয়ে খেলা দেখানো দন্ডনীয় অপরাধ। সেটা সাপ বা যে কোন বন্যপ্রাণী হতে পারে। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করতে হবে এবং সবাইকে সচেতন হতে হবে ।

এ বিষয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি মোজাম্মেল হোসেন জানান, মাদক বিরোধী অভিযান চলাকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরবের জগন্নাথপুর সড়ক সেতুর কাছ থেকে সোমবার সকালে একটি প্রাইভেটকারে মাদক পাচার হচ্ছে সন্দেহে প্রাইভেটকারটি আটক করা হয়। আটককৃত প্রাইভেটকার তল্লাশী করে ব্যাক ঢালা থেকে ৯টি বাক্স মিলে। বাক্সে মাদক রক্ষিত সন্দেহে বাক্স খোললে ফুস করে ফণা ধরে উঠে বিষধর সাপ। পরে বন অধিদপ্তরে খবর দেয়া হলে। বন অধিদপ্তরের একটি টিম সাপগুলো তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। এছাড়া সাপ পাচারকারী প্রাইভেটকার চালকের বিরুদ্ধে এসআই রাকিব দ্বিন ইসলাম বাদী হয়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পে-অফ- পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বন্যপ্রাণী হত্যা নয় বরং এদের প্রতি সদয় হতে হবে। এজন্য জনগনের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

 

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana